তোমার স্মৃতিচারণে বসেছে আজ শব্দসন্ধ্যা।
বিশ্বময়ী, রাতের পর্দা টেনেটুনে বেশ করে বসিয়েছে জমকালো সভা।
ঝাঁক ঝাঁক পাখী নীড়ে ফিরার কালে স্ব কন্ঠে দিয়ে গেল তোমার জয়দোলা, স্মৃতি চারণের সোনালী পুরুষ, তোমার তরে কৃষ্ণ পক্ষেও উড়ে আসে সাদা মেঘ। পঞ্চমীর চাঁদ একলা আকাশে সুচিকণ আলো ফেলে দেখে তোমার স্বর্ণরথ।
রাতের আয়োজনে মোহমুগ্ধবাণী ললিত তালে বাজে নাকাড়ার বোল ধাগে কেটে নাগে ধিনা,ধাগে কেটে নাগে ধিনা। সুরস্রষ্টা,
অধরে অধরে বাজে তোমার রাগিণী, পালক ঝরা মেঘের কালে অথবা ঘোর আঁধারে মহাকালমাঝে।সুরেলা কণ্ঠে কে যেন গেয়ে উঠে অরুন্ধতী রাগে।
তুমি দেখো ঐ আকাশের তলে নক্ষত্র কন্যার আনাগোনা।
তোমার তরে তোমারই একটি গান দেবে উপহার।
এমনি করেই রাতের গানে কখন হয় ভোর, নৈশব্দের ঘনত্ব ভেঙে মৌনী আকাশ তোমাকেই চেয়েছিল অরুণ আলোয়।
কবিগুরু,
রবির রাগে শব্দমালা শুধু তোমারই গলায়। এই প্রভাত কিরণে সপ্তপ্রদক্ষিনের আকণ্ঠ উচ্চারণে মন্ত্রমুগ্ধ বাণী।
কী যাদু তোমার চোখে!
অযথা কানাকানি প্রকৃতি মাঝে। মঙ্গলধ্বনি উৎসব সাজে। দিশেহারা ঊষা ঠেলেঠুলে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিল যত পুষ্প মল্লিকার, তোমার আগমনের কালে। মিঠে তরঙ্গে নেচে ওঠা দুলকি বাতাস শির শির দোলা দিয়ে গেল তোমার সোনালী শ্মশ্রুতে।
স্বপ্নদ্রষ্টা, ভুবন জুড়ে আলোকধারা তোমার তরে। যখন যা চেয়েছ বাগদেবী তাই দিয়েছেন। আচ্ছা বলতো? বাগদেবী তোমায় চেয়েছিলেন না তুমি চেয়েছিলে তাঁকে? আরাধ্য সংগীত মাঝে।
এ পরম্পরা জানি, কনক মুকুটে স্বর্ণরথে তিনিই ঢেলেছিলেন জ্ঞানের ধারা তোমার জন্মের প্রাক্কালে।সকলের সাথে ঘুম ভাঙ্গার কালে তিনিই আজ গেয়ে চলেছেন তোমার জয়গাঁথা।
" ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়
তোমারই হোক জয়"
0 মন্তব্যসমূহ