তোমার ও আমার অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য হল, আমি আমার খারাপ দিকটাকে
লুকোয় না এবং তার অস্তিত্বকে স্বীকার করি।আর তোমরা ব্যস্ত থাকো নিজের সামনে
রাখা আয়নাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে।
তোমার ও আমার পাপের পার্থক্য হল, আমি পাপ করলে বুঝি যে পাপ করেছি। আর তোমরা তোমাদের তৈরি কাল্পনিক জগতে প্রার্থনায় মগ্ন থাকো।
– মশাল খান
(মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে করা পোস্টের বঙ্গানুবাদ)
জ্ঞানের মশাল হতে চেয়েছিল। তাই প্রাণ দিতে হল বছর তেইশের প্রতিভাবান ছাত্রটিকে। পাকিস্তানের মশাল খানের অপরাধ ছিল অযথা বিদঘুটে সব প্রশ্ন করা।
পৃথিবী কি সূর্যের চারিদিকে ঘোরে? এমন প্রশ্নেও পাকিস্তানে যে কেউ ধর্মবিরোধী (ব্লাসফেমি) আইনের কবলে পড়তে পারে। এই আইনে প্রথম দিকে শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা মৃত্যু। পরে আধুনিক পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনটিকে আরো একটু মানবিক করা হয়। ধর্মবিরোধীদের শাস্তি শুধুই মৃত্যু। জেলে রেখে ধর্মান্ধদের পুষতে পাকিস্তান সরকার রাজি নয়। ধর্ম প্রশ্ন ও উত্তরের উর্দ্ধে। তাই সহজ সরল প্রশ্নেও ধর্মের কারবারিরা ভয় পায়। প্রশ্ন থেকেই জ্ঞানের শুরু আর ধর্মের পিছু হঠা।
গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেটি পরিবারের ভবিষ্যতের ভরসা হতে চেয়েছিল। কিন্তু এমন ছেলেকে পাকিস্তানের ধর্মান্ধরা ভরসা করে কী করে! বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাদের প্রিয় ছাত্রটিকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মশালের আলোকে কি আটকে রাখা যায়? তাই কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ্যে হাজির হয়ে বলেছিলেন, “আমি তো প্রশ্ন করেছি। কোন অপরাধ করিনি। লুকোতে যাব কোন দুঃখে?”
মারদান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার এই উজ্জ্বল ছাত্রটির অপরাধের তালিকা বেশ দীর্ঘ। মুসলিম দেশে নিজেকে মানবতাবাদী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ইসলাম ধর্মে হয়ত মানবতাবাদীদের জায়গা নেই। হোস্টেলের দেওয়ালে আবার কার্ল মার্ক্স আর গুয়েভেরার ছবি। যারা ধর্মকে আফিম বলেছেন, তাদের আবার হিরো বানানো। তাই তাকে নৃশংসভাবে খুন করে কেউ ঘরের দেওয়ালে লিখে আসে, “আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। মহম্মদ আল্লাহর দূত।”
অন্য মতও উঠে আসছে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে এই অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন, তাই হয়ত জীবন দিতে হল। খুনটা হল ধর্মের মোড়কে। তিনি দুই সপ্তাহ আগেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন যে ধর্ম প্রার্থনার আবরণে যে কোন পাপকে আড়াল করে।
তোমার ও আমার পাপের পার্থক্য হল, আমি পাপ করলে বুঝি যে পাপ করেছি। আর তোমরা তোমাদের তৈরি কাল্পনিক জগতে প্রার্থনায় মগ্ন থাকো।
– মশাল খান
(মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে করা পোস্টের বঙ্গানুবাদ)
জ্ঞানের মশাল হতে চেয়েছিল। তাই প্রাণ দিতে হল বছর তেইশের প্রতিভাবান ছাত্রটিকে। পাকিস্তানের মশাল খানের অপরাধ ছিল অযথা বিদঘুটে সব প্রশ্ন করা।
পৃথিবী কি সূর্যের চারিদিকে ঘোরে? এমন প্রশ্নেও পাকিস্তানে যে কেউ ধর্মবিরোধী (ব্লাসফেমি) আইনের কবলে পড়তে পারে। এই আইনে প্রথম দিকে শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা মৃত্যু। পরে আধুনিক পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনটিকে আরো একটু মানবিক করা হয়। ধর্মবিরোধীদের শাস্তি শুধুই মৃত্যু। জেলে রেখে ধর্মান্ধদের পুষতে পাকিস্তান সরকার রাজি নয়। ধর্ম প্রশ্ন ও উত্তরের উর্দ্ধে। তাই সহজ সরল প্রশ্নেও ধর্মের কারবারিরা ভয় পায়। প্রশ্ন থেকেই জ্ঞানের শুরু আর ধর্মের পিছু হঠা।
গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেটি পরিবারের ভবিষ্যতের ভরসা হতে চেয়েছিল। কিন্তু এমন ছেলেকে পাকিস্তানের ধর্মান্ধরা ভরসা করে কী করে! বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাদের প্রিয় ছাত্রটিকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মশালের আলোকে কি আটকে রাখা যায়? তাই কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ্যে হাজির হয়ে বলেছিলেন, “আমি তো প্রশ্ন করেছি। কোন অপরাধ করিনি। লুকোতে যাব কোন দুঃখে?”
মারদান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার এই উজ্জ্বল ছাত্রটির অপরাধের তালিকা বেশ দীর্ঘ। মুসলিম দেশে নিজেকে মানবতাবাদী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ইসলাম ধর্মে হয়ত মানবতাবাদীদের জায়গা নেই। হোস্টেলের দেওয়ালে আবার কার্ল মার্ক্স আর গুয়েভেরার ছবি। যারা ধর্মকে আফিম বলেছেন, তাদের আবার হিরো বানানো। তাই তাকে নৃশংসভাবে খুন করে কেউ ঘরের দেওয়ালে লিখে আসে, “আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। মহম্মদ আল্লাহর দূত।”
অন্য মতও উঠে আসছে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে এই অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন, তাই হয়ত জীবন দিতে হল। খুনটা হল ধর্মের মোড়কে। তিনি দুই সপ্তাহ আগেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন যে ধর্ম প্রার্থনার আবরণে যে কোন পাপকে আড়াল করে।
0 মন্তব্যসমূহ