আমার এক বন্ধু কট্টর যুক্তিবাদী। একদিন আমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জুতো পরেই উঠে গেল। আমার সংকোচ দেখে বলল, সবাই জানে আমি নাস্তিক। এইসব সংস্কারগুলো কাটানোর দরকার। আমি বললাম তোমার আশেপাশের লোকেদের আঘাত করে নিজেকে প্রগতিশীল সাজাটাকে ঘৃণা করি। তুমি নাস্তিক, তোমাকে ধর্মস্থলে ঢোকারই দরকার নেই। যদি ঢুকতে চাও তাদের নিয়ম মেনেই ঢোকো।
এমন অনেককে দেখেছি, যারা ধর্মীয় চিহ্ন, মূর্তি এগুলোতে আঘাত করে নিজের নাস্তিক্যতাকে বিজ্ঞাপিত করতে চায়। এইসব কট্টরতা মৌলবাদের জন্ম দেয়। শুধু ধর্মীয় মৌলবাদই হয় না। মৌলবাদী বুদ্ধিজীবিও হতে পারে।
মৌলবাদী কমিউনিস্ট শ-খানেক দেখেছি। মার্কসের রচনাবলী ছেড়ে কয়েকটা টিকা পড়েই সব জেনে গেছির দলে পড়ে গেছে। শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বেই সর্বহারার একনায়কতন্ত্র আসবেই, তারা ধরেই নিয়েছে। কেন শ্রমিক, সাম্যের সমাজে কেন একনায়কতন্ত্রের বাক্যবন্ধ এসবের কোন সঠিক উত্তর নেয়। আমি একবার জানতে চেয়েছিলাম, কয়লাঞ্চের শ্রমিকেরা মাস গেলে মোটা বেতন পায়। তার কোন স্বার্থে বিপ্লব করবে! ভারতবর্ষে তো বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকার্যে যুক্ত। তাহলে কি এই সংখ্যাগুরু কৃষককে সংখ্যালঘু শ্রমিকেরা নিয়ন্ত্রণ করবে! এইরকম অনেক প্রশ্নের পর উত্তর পেয়েছি, আমাদের বিশ্বাস ভারতে বিপ্লব আসবেই, আর তা শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বেই। 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু'। এইসব মৌলবাদী কমিউনিস্টদের বিশ্বাস ভাঙ্গার আমি কে!!
বাংলাদেশে দেখেছি মোল্লা, মৌলবিদের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ অশ্রাব্য শব্দের প্রয়োগ করতে। ইসলাম ধর্ম প্রগতির কথা বলে না। তবুও প্রগতিশীল সাজতে গিয়ে এইসব তথাকথিত নাস্তিকদের অভদ্র শব্দচয়ন কোন নতুন বিপ্লবের জন্ম দেবে কে জানে। বরং তারা বলতেই পারে ইসলাম ধর্ম তার সময়ে অন্যতম প্রগতিশীল ধর্ম ছিল। সেই সময়ে চারটে বিয়েতে হজরত মহম্মদ পুরুষদের বেধে দিয়েছিলেন। যেখানে মাত্র সত্তর-আশি বছর আগে হিন্দু কুলীন বামুনদের একশটা বিয়ে করা স্ট্যাটাস সিম্বল ছিল। সেখানে হজরত মহম্মদ কয়েক হাজার বছর আগে এরকম আরো অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
ইসলামি সভ্যতা তার সময়ে এই পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করেছিল। ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা শুরুর পিছনেও ইসলামি সভ্যতার হাত আছে। আমির খুসরু, রুমি, মির্জা গালিবের মত সাহিত্যিকদের আমরা পেয়েছি। তার বদলে আজ ইসলাম শব্দের পরেই সন্ত্রাস শব্দ জুড়ে যায়।
এই পশ্চাদপদতা এসেছে কট্টরতা থেকে। যা আছে তাহাই সত্য। সময় পালটে গেলেও আমরা অনড়। তাতে মুসলিমেরা দিকে দিকে মরতে থাকুক, তাও মেনে নেব। কট্টরতা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
ভারতে হিন্দু মৌলবাদীদের কাছে প্রেম করাই অপরাধ। যুগল দেখলেই ভারতের অনেক রাজ্যে হিন্দুত্ববাদীরা রে রে করে তেড়ে আসে। যদিও কৃষ্ণ-রাধার প্রেম তাদের দৈনন্দিন ধর্মীয় আচারের মধ্যে পড়ে। রাধা কৃষ্ণের মাঠে-ঘাটে, গাছের তলায় প্রেমকাহিনী হিন্দুদের উদ্বেল করে। আর কৃষ্ণের অনুগামী বজরং বাহিনী প্রেমকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করেছে। ত না কি ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। তাহলে এইসব মৌলবাদীদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, তাহলে হিন্দুদের ঈশ্বরদের প্রেমকাহিনী কোন সুস্থ সংস্কৃতির কথা বলে!
কোন ধর্ম, কোন আদর্শ যদি স্থান কাল ভেদে না পালটায় তা স্থবিরতার জন্ম দেয়। এই স্থবিরতা আমাদের পশ্চাদগামী করে।
এমন অনেককে দেখেছি, যারা ধর্মীয় চিহ্ন, মূর্তি এগুলোতে আঘাত করে নিজের নাস্তিক্যতাকে বিজ্ঞাপিত করতে চায়। এইসব কট্টরতা মৌলবাদের জন্ম দেয়। শুধু ধর্মীয় মৌলবাদই হয় না। মৌলবাদী বুদ্ধিজীবিও হতে পারে।
মৌলবাদী কমিউনিস্ট শ-খানেক দেখেছি। মার্কসের রচনাবলী ছেড়ে কয়েকটা টিকা পড়েই সব জেনে গেছির দলে পড়ে গেছে। শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বেই সর্বহারার একনায়কতন্ত্র আসবেই, তারা ধরেই নিয়েছে। কেন শ্রমিক, সাম্যের সমাজে কেন একনায়কতন্ত্রের বাক্যবন্ধ এসবের কোন সঠিক উত্তর নেয়। আমি একবার জানতে চেয়েছিলাম, কয়লাঞ্চের শ্রমিকেরা মাস গেলে মোটা বেতন পায়। তার কোন স্বার্থে বিপ্লব করবে! ভারতবর্ষে তো বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকার্যে যুক্ত। তাহলে কি এই সংখ্যাগুরু কৃষককে সংখ্যালঘু শ্রমিকেরা নিয়ন্ত্রণ করবে! এইরকম অনেক প্রশ্নের পর উত্তর পেয়েছি, আমাদের বিশ্বাস ভারতে বিপ্লব আসবেই, আর তা শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বেই। 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু'। এইসব মৌলবাদী কমিউনিস্টদের বিশ্বাস ভাঙ্গার আমি কে!!
বাংলাদেশে দেখেছি মোল্লা, মৌলবিদের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ অশ্রাব্য শব্দের প্রয়োগ করতে। ইসলাম ধর্ম প্রগতির কথা বলে না। তবুও প্রগতিশীল সাজতে গিয়ে এইসব তথাকথিত নাস্তিকদের অভদ্র শব্দচয়ন কোন নতুন বিপ্লবের জন্ম দেবে কে জানে। বরং তারা বলতেই পারে ইসলাম ধর্ম তার সময়ে অন্যতম প্রগতিশীল ধর্ম ছিল। সেই সময়ে চারটে বিয়েতে হজরত মহম্মদ পুরুষদের বেধে দিয়েছিলেন। যেখানে মাত্র সত্তর-আশি বছর আগে হিন্দু কুলীন বামুনদের একশটা বিয়ে করা স্ট্যাটাস সিম্বল ছিল। সেখানে হজরত মহম্মদ কয়েক হাজার বছর আগে এরকম আরো অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
ইসলামি সভ্যতা তার সময়ে এই পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করেছিল। ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা শুরুর পিছনেও ইসলামি সভ্যতার হাত আছে। আমির খুসরু, রুমি, মির্জা গালিবের মত সাহিত্যিকদের আমরা পেয়েছি। তার বদলে আজ ইসলাম শব্দের পরেই সন্ত্রাস শব্দ জুড়ে যায়।
এই পশ্চাদপদতা এসেছে কট্টরতা থেকে। যা আছে তাহাই সত্য। সময় পালটে গেলেও আমরা অনড়। তাতে মুসলিমেরা দিকে দিকে মরতে থাকুক, তাও মেনে নেব। কট্টরতা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
ভারতে হিন্দু মৌলবাদীদের কাছে প্রেম করাই অপরাধ। যুগল দেখলেই ভারতের অনেক রাজ্যে হিন্দুত্ববাদীরা রে রে করে তেড়ে আসে। যদিও কৃষ্ণ-রাধার প্রেম তাদের দৈনন্দিন ধর্মীয় আচারের মধ্যে পড়ে। রাধা কৃষ্ণের মাঠে-ঘাটে, গাছের তলায় প্রেমকাহিনী হিন্দুদের উদ্বেল করে। আর কৃষ্ণের অনুগামী বজরং বাহিনী প্রেমকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করেছে। ত না কি ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। তাহলে এইসব মৌলবাদীদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, তাহলে হিন্দুদের ঈশ্বরদের প্রেমকাহিনী কোন সুস্থ সংস্কৃতির কথা বলে!
কোন ধর্ম, কোন আদর্শ যদি স্থান কাল ভেদে না পালটায় তা স্থবিরতার জন্ম দেয়। এই স্থবিরতা আমাদের পশ্চাদগামী করে।
0 মন্তব্যসমূহ