বাংলাদেশ এখন হেফাজতের হেফাজতে || রাণা

ইমতিয়াজ মাহমুদকে চেনেন? নাহ! চেনার কথা নয়। আমাদের মত ছাপোষ্যরা চিনবই কেমনে? তবু বাংলাদেশ সরকার দায়িত্ব নিয়ে এইসব প্রান্তিক মানুষদের জগতসভায় বিখ্যাত করে তুলছেন। সৌজন্য ৫৭ ধারার মত মধ্যযুগীয় ব্লাসফেমি আইন। অনেক ইমতিয়াজ জেলে গেছেন, অনেক ইমতিয়াজ জেল থেকে ফিরে জামিনে মুক্ত, অনেক ইমতিয়াজ জেলে যাওয়ার অপেক্ষায়। সৌজন্যে বাংলাদেশ সরকারের ধার্মিক উগ্রবাদীদের কাছে মাথানত হওয়া।

পাকিস্তান থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। মৌলবাদকে তোল্লাই দিতে দিতে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তাদের সৃষ্ট আলাদিনের দৈত্য আজ তাদের কথা শোনে না। হাসিনাজি আপনারাও সেই বোতলের দৈত্যের ছিপি খুলে মহানন্দে আছেন, এবার দৈত্যকে বোতলবন্দী না করলে মহাবিপদ। কোনদিন ৫৭ ধারায় আপনার বিরুদ্ধে কেউ যদি মামলা করে বসে, তখন? কারণ ইসলামে নারীদের স্থান গৃহে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নয়।

ইমতিয়াজ মাহমুদের অপরাধ কী? চট্টগ্রামে পাহাড়িয়াদের উপর যে হামলা হয়েছে, উনি তার প্রতিবাদ করেছেন। বাংলাদেশে মানবিক হওয়াও কি অপরাধ!

ইমতিয়াজ মাহমুদ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি। তিনি তার মানবিক লেখালেখির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করছিলেন, তাই আজ কালা আইন তার উপরেও প্রয়োগ করা হল।

শফি হুজুর নারীদের নিয়ে অশ্লীল কথা প্রথমে বলে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিক, নৈতিক, মানসিক সব অনুভূতিতে তিনিই প্রথম আঘাত করেছেন। নারী মানেই ভোগের পণ্য এটা ইসলাম বলে না, অথচ তিনি নারীদের নিয়ে চূড়ান্ত রকমের অশালীন মন্তব্য করেছেন-তখন ধর্মীয় অনুভূতি কোথায় থাক? এইসব অপব্যাখ্যাকারীরাই ইসলামের অনিষ্ট করছেন এবং এরাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছেন। তারাই আবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কথা বলেন।
শফি হুজুর বা তার সাঙ্গোপাঙ্গরা যখন ক্রমাগত নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী কথা বলেন, প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেন, তখন আইন কোথায় থাকে? আইনের প্রহরীরা কোথায় থাকে?

শফি হুজুর শুধু ধর্মীয় নয় মানব অনুভূতিতেও আঘাত করে চলেছেন। তিনি এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ান কি করে? না এই আইন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নাস্তিকদের দমন করার জন্য !



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ