বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা ও কয়েকটি হত্যা সম্পর্কে...।। ইমতিয়াজ মাহমুদ...!


(১) 
শোনেন, রেগে মেগে কটু কথা বলি বটে, কিন্তু আপনারা একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করেন বিনা বিচারে মানুষ হত্যা কতো ভয়ংকর একটা ব্যাপার। একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের নানা কারণে সন্দেহ হতেই পারে। আপনার বাড়ীতে চুরি হয়েছে, কেউ একজন দেখেছে ঠিক চুরির সময়টাতেই আমি আপনার বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই কথাটা পুলিশ জানতে পারলো। আমাকে চোর সন্দেহ করে পুলিশ যদি গুলি করে আমাকে হত্যা করে আপনি কি তাতে আনন্দিত হবেন? 

অথবা শ্যামা নৃত্যনাট্যের ঘটনাটা ধরেন। বজ্রসেন যাচ্ছিল রাস্তা দিয়ে ওকে সান্ত্রীরা ধরেছে রাজবাড়ীর গয়না চুরির সন্দেহে। কেন? ভিনদেশী লোক সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরি করছিল। রাজা আদেশ দিয়ে দিল দাও ব্যাটাকে শুলে চড়িয়ে। এটা কি ন্যায় ছিল? না। ন্যায় ছিল না। 

বিচার করতে হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। স্বাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনা করতে হয়। আইনকানুন দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নাইলে মানুষের প্রতি অন্যায় হয় আর প্রকৃত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়। 

জানি, এইখানে আপনি বলবেন যে এইসব কেতাবি কথা। আপনারা বলবেন যে ড্রাগঘটিত এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে এইসব কেতাবি কথা উপেক্ষা করলেও চলে। আপনার এই কথাটা ভুল। ঠিক আছে। কেতাবি কথা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বাস্তব উদাহরণের মধ্যে থেকেই কথা বলি। আপনি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখেন বিনাবিচারে গুলি করে মানুষ মারাটা ঠিক হচ্ছে কিনা।  

(২) 
প্রথমেই আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই আমিন হুদার কথা। আমিন হুদাকে মনে আছে আপনাদের? আমিন হুদা ইয়াবা ব্যাবসার জন্যে আদালতে দোষী প্রমাণিত হয়ে ৬০ বছর নাকি ৭০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছে। কে এই আমিন হুদা? আমিন হুদা একজন অতি বিত্তবান ব্যক্তি, তার পরিবার অনেক বিত্তবান এবং প্রভাবশালী। আপনি একটু খোঁজ খবর নিন, জানতে পারবেন এই লোকটি কতোটা প্রভাবশালী। তাকেও তো আমাদের দেশেই এই বিচার ব্যাবস্থার মধ্যেই বিচার করে দোষী প্রমাণিত করতে পেরেছে আমাদের পুলিশ এবং সরকার। তাইলে এখন যাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে ওদেরকে কেন দোষী প্রমাণিত করতে পারছেন না? 

আপনারা দল বেঁধে আমাকে বুঝাতে আসছেন মামলা করে লাভ নাই। মামলা হওয়ার কিছুদিন পরেই আসামী জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে ইত্যাদি। ও ভাই, জামিন পেলে কি হয়? কিসসু হয় না। চলেন একটা উদাহরণ নিই। মনে করেন বদিউল আলম নামে একজনকে পুলিশ ধরেছে ইয়াবা পাচারকারী হিসাবে। ওর কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাও পাওয়া গেল। এরপর? 

এরপর পুলিশের কাজ হচ্ছে বদিউল আলমকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা। ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে শুনবে, বদিউল আলমের কথা শুনবে। শুনে মামলা আমলে নিবেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন বিচার চলাকালীন সময়ে আসামী কোথায় থাকবে? ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে আসামীকে তার নিজ জিম্মায় বা অন্য কারো জিম্মায় ছেড়ে দিতে পারেন অথবা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেটের নিজের জিম্মায় রাখা মানে হচ্ছে ওকে জেল হাজতে রাখা। মনে রাখবেন এই যে জামিনে ছেড়ে দেওয়া বা জেল হাজতে রাখা এর মানে কিন্তু এই না যে বদিউল আলম নির্দোষ বা দোষী প্রমাণিত হয়ে গেল। এটা কেবল বিচার চলাকালীন সময়ে আসামী কোথায় থাকবে সেই সিদ্ধান্ত। 

এরপর শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। তদন্ত করে পুলিশ যদি দেখে যে ওদের কাছে বদিউলের দোষ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে, তাইলে সেই কথা লিখে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখে জানাবে, এটাকে বলে চার্জশিট বা অভিযোগ পত্র। আর পুলিশ যদি দেখে যে না, ওদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নাই, তাইলে সেটাও ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখে জানাবে। তখন সেটাকে বলবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন- মামলা শেষ। 

(৩) 
পুলিশ যদি তৎপর হয়, আর ওরা যদি আসলেই বদিউল আলমের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে আর সে যে নিজে এটার ব্যাবসা করছিল তার প্রমাণ  ইত্যাদি থাকে, তাইলে পুলিশ চট করে চার্জ শিট দিয়ে দিতে পারে এবং বদিউল জামিনে থাক আর যেখানেই থাক, দ্রুত তার বিচার শেষ করে আদালত রায় দিয়ে দিতে পারে। 

তদন্ত ও বিচারের বিষয়টা অনেকে একটা বিশাল জটিল প্রক্রিয়া মনে করেন আর মনে করেন যে অপরাধ প্রমাণ করা নাকি একটা অনেক কঠিন কাজ, অনেক স্বাক্ষি অনেক দলিল ইত্যাদি দরকার হয়। বাস্তব হচ্ছে যে কেবল একটা ক্যামিকেল টেস্টের রিপোর্ট আর দুইজন পুলিশ কর্মকর্তার সত্য স্বাক্ষ্য হলেই বদিউল আলমের সাজা নিশ্চিত করার জন্যে যথেষ্ট হতে পারে। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয় কারণ আদালতে নিশ্চিত করতে হয় যে যে জিনিসটা বদিউল আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটা আসলেই ইয়াবা।

হ্যাঁ, বদিউল আলম আপীল করবে। ট্রায়াল কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে হাই করতে যাবে, আপিলেট ডিভিশনে যাবে। যাক। ট্রায়াল কোর্টের জজ সাহেব তো ভুলও করতে পারেন। সেগুলি যাচাই হয়ে গেল। অসুবিধা কি? রায় ঠিক হলে সাজা তো বহালই থাকবে। আর সরকার যদি তৎপর হয় তাইলে এইসব আপীল নিষ্পত্তি করতেও বেহসিদিন লাগে না। আর সরকার যদি যুক্তি দিয়ে দেখাতে পারে যে জামিন আপীল চলাকালীন সময়ে জামিন দিলে বদিউল আলম বার্মা চলে যেতে পারে তাইলে হাই কোর্ট আপীল চলাকালীন সময় জামিনও দিবে না। 

এখন আপনি আমাকে প্রশ্ন করেন যে এতোই যদি সোজা হবে, তাইলে ড্রাগ সংক্রান্ত এইসব মামলার নিষ্পত্তি হয় না কেন? আসামীরা জামিন নিয়ে ঘুরতে থাকে আর মামলা ঝুলে থাকে কেন? আসেন এই কেনটা বুঝতে চেষ্টা করি। 

(৪) 
বদিউল আলমের উদাহরণের মধ্যেই থাকেন। মনে করেন জানুয়ারি মাসে বদিউলকে ধরে মামলা করেছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেট বদিউলকে জামিন দিল না, পুলিশকে নির্দেশ দিল তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে। বদিউল হাজতে আছে, পুলিশ তদন্ত করেছে। জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারি যায়, মার্চ যায়, এপ্রিল যায়, মে মাসও যায় যায়। একেকটা তারিখ পরে, পুলিশ হাজত থেকে বদিউলকে আদালতে এনে হাজির করে, কন্তু তদন্তের রিপোর্ট আর দেয়না। এখন? 

মে মাসের তিরিশ তারিখে মামলার তারিখে বদিউলের উকিল আবার জামিনের দরখাস্ত দিল। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে বলল, যে দেখেন, এই লোকটা বিনা বিচারে এতোগুলি মাস ধরে হাজতে আছে, বউ বাচ্চাকে দেখতে পায় না, সামনে ঈদ, সে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ি, রাজনৈতিক নেতা, সে তো দেশ ছেড়ে পালাবে না। মেহেরবানী করে ওকে জামিনে ছেড়ে দেন, বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে যা সাজা হয় ভোগ করবে, কিন্তু বিনা বিচারে কেন বেচারাকে আটকে রাখবেন? 

আপনি নিজে যদি যদি ম্যাজিস্ট্রেট হন তাইলে এই পরিস্থিতিতে আপনি কি করবেন? মনে রাখবেন, ম্যাজিস্ট্রেট কিন্তু জানেন না আসলেই এই লোকটি অপরাধী কিনা। ম্যাজিস্ট্রেট জানেন না পুলিশের হাতে আদৌ কোন তথ্য প্রমাণ আছে কিনা। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব কি করবেন? বলেন? 

আমাদের এখানে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরা আসলেই চট করে জামিন দিতে চাননা। কিন্তু কাঁহাতক? পুলিশ যদি মাসের পর মাস তদন্তের জন্যে কেবল সময়ই নিতে থাকে তাইলে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব কি করবেন? আর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবেড় কাছেই তো ব্যাপারটা শেষ না, সেশন কোর্ট আছে, হাই কোর্ট আছে- জজ সাহেবদেরকে আপনি কি করে বুঝাবেন যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে পারছে না বলে একজন অভিযুক্তকে অনন্তকাল হাজতে আটকে রাখতে হবে?

এটা তো আমি সরল উদাহরণ দিলাম। অনেক সময় এমনও হয় যে পুলিশের মামলায় ভুল থাকে, দৃশ্যতই দেখা যায় যে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তখন জজ সাহেবরা কি করবেন? 

(৫) 
জানি, আমাদের দেশের জজ সাহেবদের বিরুদ্ধেও আপনারা চট করে অভিযোগ করতে দ্বিধা করেন না। উকিলদের কথা বাদই দিলাম। ঠিক আছে, আমাদের জজ সাহেবরা তো আমাদের দেশেরই মানুষ। উনাদের মধ্যেও ভাল আছেন মন্দ আছেন, সৎ আছেন অসৎও দুই একজন থাকতে পারেন, বুদ্ধিমান আছেন, কয়েকজন বোকা সোকাও পাবেন। আপনার যে জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক মান তার চেয়ে উন্নত জজ তো আর আপনি পাবেন না। এই জজ সাহেবদের নিয়েই আপানদের চলতে হবে। কি করবেন! 

কিন্তু মাদক ব্যাবসায়িরা কি জজ সাহেবদের দোষে ছাড়া পেয়ে যায়? মাদকের মামলায় কি জজ সাহেবরা কোন আসামীকেই সাজা দেয় না? সকল অপরাধিকেই কি জজ সাহেবরা জামিনে ছেড়ে দেন? সব দোষই কি জজ সাহেবদের? না। জজ সাহেবদের ভূমিকা এইসব ক্ষেত্রে খুবই সীমিত। জজ সাহেবদের সামনে যদি আপনি ঠিকমতো মামলা উপস্থাপন না করেন, জজ সাহেবরা কি করবেন? 

আপনি বরং আপনার পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন। ও ভাই, এই যে আমরা শুনতে পাচ্ছি যে একেজনের নামে দশটা পনেরটা করে মাদকের মামলা, এইগুলিতে চার্জ শিট দেননা কেন? এইসব মামলা জরুরী ভিত্তিতে শেষ করেন না কেন? ধরেন একজন কঠিন ড্রাগডিলার জামিনে বেরিয়ে গেল, আপনারা কেন দুই মাসের মধ্যে ওর বিরুদ্ধে চার্জ শিট দিয়ে দেন না। চার্জ শিট দিলেই তো ওকে আবার নতুন করে জামিন চাইতে হবে। আপনারা কি আপনাদের নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছেন?

বলে যে আসামীরা নাকি বিশাল বিশাল উকিল ভাড়া করে। ভাল কথা। সে তো বাঁচার জন্যে বড় উকিল নেবেই। আপনার কি করেন? আপনারা কেন বারের সবচেয়ে ভালো উকিলদেরকে বেশী পয়সা দিয়ে প্রসিকিউটর বানান না? রাষ্ট্রের কি টাকার অভাব হয়েছে? এইসব পেটি ড্রাগ ডিলাররা কি সরকারের চেয়ে বেশী পয়সাওয়ালা? না, আপনারা এইসব করবেন না। আপনারা নিজেদের দায়িত্বটা পালন করবেন না, আর দোষ দিবেন অন্যদেরকে।

আপনারা আপনাদের নিজেদের ব্যর্থতা দেখবেন না আর গোটা জাতিকে দোষারোপ করবেন, বলবেন যে এই দেশে বিচার সম্ভব না। 

(৬) 
ও ভাই, পুলিশ বা র‍্যাব কাউকে অপরাধী বললেই সে অপরাধী হয়ে যায় না। থিওরির কথা না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ইমারজেন্সির সময় আমাদের দেশের পুলিশ আর্মি এরা মিলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে। একটা মামলায় এই অধম আসামী পক্ষের উকিল ছিল। মামলার অভিযোগ ভ্রান্ত ছিল। কিন্তু আমি তখন দেখেছি, খবরের কাগজের লোকজন থেকে শুরু করে সকলেই এমন একটা ভাব করতেন যেন শেখ হাসিনা আসলেই চুরি করেছেন। 

বড় বড় দুই সম্পাদকের কথা মনে আছে আমার। সামাজিক অনুষ্ঠানে গেছি, খানা পিনার ফাঁকে এই ক্তহা সেই কোথায় উঠেছে সেই মামলার কথা। আমি যখন ওদেরকে বললাম যে অভিযোগ ভুল, এই ঘটনায় কোন দুর্নীতি হয়নি, ওরা এমন হাসি দিচ্ছিলেন যেন, 'পোলায় কয় কি!' আমি এমনিতে ফৌজদারি মামলা করিনা। কিন্তু সেই মামলাটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ছিল আর সেটা কিনা আমার পেশার ক্ষেত্র, সেইজন্যে আমি সেই মামলায় উকিল হিসাবে গেছি। আমি নিজে জানি যে সেখানে কোন দুর্নীতি ছিল না এবং সেটা হাই কোর্ট পর্যন্ত আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। 

আজকে যখন আপনারা শুধু মাত্র পুলিশের কথা শুনে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেন আর তাকে গুলি করে হত্যা করাটাকেও সমর্থন করেন তখন আমি আঁতকে উঠি। আমাদের কি হয়েছে? আমরা কি সভ্যতার সবকিছু বিসর্জন দিয়েছি? 

মাদকের ভয়াবহতা কি জিনিস সেটা আমাদের পরিবারের চেয়ে বেশী জানে এরকম লোক খুব কম আছে এই দেশে। ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির কথা বলতে চাই না। কিন্তু শোনেন, সেজন্যে তো আমি অন্যায়ভাবে মানুষকে মেরে সমর্থন করতে পারি না। তাও যদি হতো যে দুই চারজন মানুষের প্রাণের বিনিময়ে মাদকের আগ্রাসন কমবে! সে তো হবে না। শুধু শুধু নিরপরাধ মানুষ মরবে। 

শোনেন, আপনারা বুদ্ধিমান মানুষ। আপনারা সরকারকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন মাদকের মামলার বিচার হয়না। না, কছু কিছু বিচার তো হয়। সাজাও হয়। কিন্তু যারা বিচার গলে বেরিয়ে যায় সেসব ক্ষেত্রে পুলিশের কি ভূমিকা প্রসেকিউটরদের কি ভূমিকা সেটা বিবেচনা করেছেন? কোন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্বে অবহেলার জন্যে শাস্তি দিয়েছেন? ঘুষ খাওয়ার জন্যে কোন পুলিশ কর্মকর্তার চাকরী গেছে? কোন প্রসিকিউটরকে ধরেছেন? 

দুর, এতো কথা বলার দরকার কি? শুধু এইটা বলে নিই- মাদকের থাবা থেকে বাঁচার জন্যে রাজনৈতিক ইচ্ছা আর দৃঢ়তা দরকার, সরকারের লোকেদের সততা দরকার, মানুষ হত্যা করা দরকার নাই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ