সংস্কার ছাড়াই ইসলাম টিকে আছে বলে যারা আত্মতুষ্টিতে ভোগে তাদের জন্য একরাশ করুনা। একটু ভাবুন ইহুদি, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা হিন্দু ধর্মের জাতিগোষ্ঠির তুলনায় মুসলিম জাতিগোষ্ঠী কতটা পিছিয়ে পড়া। অন্য সব জাতি এই মুসলিম জাতিকে করুনা করে, হাস্যরস করে কিংবা সহজ দাসবৃত্তিতে কাজে লাগাতে পারবে বলে বগলদাবা বাজায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে সস্তায় শ্রম বিক্রি করে বা করতে বাধ্য হয় এই জাতিটি। ইসলামের ঠিকাদারিতে থাকা অশিক্ষিত, মাথামোটা-মোল্লা শ্রেণীটির এটি বুঝারও ক্ষমতা নাই যে, ইসলামের অনেক নিয়ম-কানুন জাস্ট আত্মহত্যার সামিল। লক্ষ্য করুন মুসলিমরা যখন বলে অন্য ধর্মে বদল হয়েছে তাই মৌলিকত্ব নাই আর ইসলাম বদল হয়নি কোনদিন হবেও না, তখন তারা ইতিহাস দেখেনা বা জানে না। অন্যরা সংস্কার করেছিল বলেই তারা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে পেরেছে। ইসলামিস্টরা এটা যত দেরিতে বুঝবে তত নিজেদের জন্য ডুবে মরার খাল খনন করবে। বাস্তবতা হচ্ছে দেরিতে হলেও ইসলামকেও খোলস থেকে বের হতে হবে।
২০০ বছর আগে খৃষ্টান ক্যাথলিকরাও একই কথা বলেছিল, যে আমাদের টেস্টামেন্টে কি নাই, ১৮০০ বছর থেকে আমাদের ধর্মগ্রন্থ অপরিবর্তিত,আমাদের ধর্মগ্রন্থ ঈশ্বর প্রদত্ত...বেশি না ১০০ বছর আগে ভারতের গোঁড়া হিন্দুরাও এই মুসলিম কট্টরদের মতোই বলেছিল আমাদের বেদের নিয়ম ঈশ্বর প্রদত্ত এবং তা ৩০০০ বছর থেকে অপরিবর্তিত ৷
আর এই কুরআন তো মাত্র ১৪০০ বছর আগের৷দেখুন আরো অনেক পুরান শক্তিশালী ধর্মও টিকতে পারেনি সময়ের দাবীতে পরিবর্তন করতে হয়েছে। সময়ের হিসেবে ৪০০০,৩০০০,১৮০০ বছরের পুরনো ঈশ্বরের পাঠানো বই নিয়ে টেকা যাচ্ছে না আর মাত্র ১৪০০ বছরের পুরান কিতাব নিয়ে কতদূর আটকে থাকা হবে? মুমিনরা মুর্খের মত আর কত বলতে থাকবে কোরান সব বিজ্ঞানের আধার?
এমন ভাবেই, ২০০ বছর আগে ক্যাথলিকরাও বলেছিল বাইবেলে কি নাই, সব বিজ্ঞান বাইবেলে.... কিন্তু দেখুন সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সব বিজ্ঞান কোথায় ভেসে গেল এবং পশ্চিমা দেশগুলি সেই সত্য স্বীকার করে নিয়েছে ও আজ তারা আমাদের বাংলাদেশ, ভারত থেকে শত শত বছর এগিয়ে আছে যে কোনো আবিস্কারে,উন্নতিতে ৷ দেরীতে হলেও হিন্দুরা সংস্কারের মধ্য দিয়ে গিয়ে আধুনিকতাকে বেছে নিয়েছে আর তাই ভারতও বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে। সত্য কথা হলো বিজ্ঞানমনষ্ক, আধুনিক মানুষেরা সংস্কার নয় ধর্মকে একরকম জীবন থেকে ত্যাগ করেছে বলা যায়। বর্তমান যুগে বাস করে কোন ধর্মগ্রন্থে অন্ধবিশ্বাস করা বোকামি ছাড়া কিছু না । বর্তমানের সব ধর্মই একদিন বিলুপ্ত হবে । যেমনটা গ্রীক, সেলটিক, প্যাগান, ভুডু, নর্স ধর্মকে এখন আমরা mythology বলি। ভবিষ্যতে হবে 'Islamic Mythology' যেটা পড়ে যুক্তিবাদী মানুষ অবাক হবে যে মানুষ আগে বিশ্বাস করত যে কেউ মানুষের মাথাওলা ঘোড়ায় চড়ে ২৭ বছর স্বর্গে ঘুরে এসেছে অথবা কেউ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিল!!
ইসলামের ক্ষেত্রে একথা আরো বেশি সত্য যে, সংস্কার নয়, গাল-গল্পে ভরা ওসব ধর্মীয় কিতাবকে মিউজিয়ামে পাঠানো হোক সত্ত্বর এবং তা মানব জাতির কল্যানের জন্যই।
0 মন্তব্যসমূহ