দক্ষিণ ২৪ পরগণার বোড়াল
যেখানে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালীর চিত্রগ্রহণ হয়েছিল। ঠিক তার পাশেই ছিল সত্যজিৎ
রায়ের মূর্তি। যদিও সেই মূর্তি পড়েছিল অবহেলায়। মূর্তির চারপাশে রীতিমতো ঝোপ
ঝাড়ে ঢেকে গিয়েছিল। সিমেন্ট খুলে লোহার রড পর্যন্ত বেরিয়ে গিয়েছিল মূর্তির কাঠামোর।
ময়লা ফেলার জায়গাতে পরিণত হয়েছিল। এভাবেই চলছিল বছরের পর বছর। অস্কার জয়ী বাঙালিকে
আমরা সম্মান দিতে পারিনি যা বাঙালির লজ্জা। কিন্তু এই অবস্থা দূর করতে সমর্থ্য হন
বাংলা পক্ষের দুই সদস্য কৌশিক ব্যানার্জী ও সুব্রত আচার্য্য। ওনারা দুইজন প্রায় ২০
দিন আগে একদিন বোড়ালের রাস্তা হয়ে যাবার সময় বাংলা সিনেমার অন্যতম কাণ্ডারী
সত্যজিৎ রায়ের মূর্তির ভগ্নপ্রায় অবস্থা দেখেন। দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুক লাইভ
করেন। এবং সকলে ঠিক করেন সোনারপুর পৌরসভায় ডেপুটেশেন দেবেন। কিন্তু এই লাইভ দেখেই
পৌরসভা জায়গাটা পরিষ্কার করে। ওনারা ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যুদিন পালন করেন এবং
অমিত সেন, কৌশিক ব্যানার্জী সহ
বাংলা পক্ষের অন্য সদস্যরাও সত্যজিৎ রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তার কিছুদিনের
মধ্যেই সোনারপুর পৌরসভা মূর্তিটি সংস্কার করে। মূর্তিটির আগের ও পরের অবস্থার ছবি
দেখলেই বুঝতে পারবেন কিরকম জায়গায় ছিল সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি। আপামর বাঙালির উচিত বাঙালির সব ঐতিহ্য রক্ষা করা। সবচেয়ে অবাক
করা বিষয় হল কেন সাধারণ মানুষ এতদিন এড়িয়ে চলতো এসব। পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন
উঠছে। সাধারণ মানুষকে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। দুইজন সাধারণ মানুষ যদি এ কাজ
করাতে পারেন তাহলে ভেবে দেখুন সবাই সচেতন হলে আমরা আমাদের সোনার বাংলা আবার ফিরে
পেতেই পারি।
সূত্র: www.literacyparadise.com
0 মন্তব্যসমূহ