রাষ্ট্রপুঞ্জের সাউথ এশিয়ার মানচিত্র |
ভারতের স্বাধীনতা ও সার্বভ্রৌমত্ব চীনের নদীগুলোর কাছে বন্ধক রাখা আছে। একইভাবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভ্রৌমত্ব ভারতের নদীগুলোর কাছে বন্ধক রাখা…।
আজকের পৃথিবী বাজার ধরার পৃথিবী। স্বাধীনতা সার্বভ্রৌমত্ব বাজার অর্থনীতির কাছে পরাজিত। যাদের আসলে কিছু বেচার নেই তারাই দেশপ্রেম বুলি আওড়ায়। এই যে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান চীনের পা ধরে কত কান্নাকাটি করল, সৌদি কাতার তুরস্ককে সাত মন ঘি ঢেলে নাচাতে চাইল- কেউ কি নাচল? পাগল নাকি! এখানে বিজনেস জড়িত। ভারতে কত মিলিয়ন ডলারের বাজার আছে চীনের সেই খবর কেউ রাখে? সৌদি কাতারের ভারতকে প্রয়োজন আছে। চীনকে উইঘুর নিয়ে তথাকথিত মুসলিম বিশ্ব কেন ঘাটায় না? কারণ তারা কেউ বাজার হারাতে চায় না।
একমাত্র ব্যবসাই পারে পৃথিবীকে শান্ত রাখতে। ব্যবসার স্বার্থেই মানুষ সেক্যুলার হতে বাধ্য হয়। রোজার ইফতারি যেমন হিন্দু দোকানদার বানায়, তেমনি রথের মেলায় মুসলমান দোকানদার পসরা নিয়ে বসে। আমি তো লক্ষ্মী দেবীর মূর্তি একজন মুসলমানকে বেচতে দেখেছি। ব্যবসাই পারে রাজায় রাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে। আবার ব্যবসাই আমাদের মানবতার আর্তি শুনেও মূক বধির সাজতে বাধ্য করে। তবু ব্যবসা বিপণন ব্যবস্থাই পৃথিবীর অঞ্চলগুলোকে শান্ত রাখতে পারে।
এবার আসি এই উপমহাদেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পুজারীদের বিষয়ে। যেসব পন্ডিত ‘ভারত’ বলতে ইতিহাসে কখনই একটি দেশ বা জাতি বুঝায়নি বলে পান্ডিত্য ঝাড়েন তারা এটা বুঝেন না, এই গোটা উপমহাদেশে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেউ বাঁচতে পারবে না। ভারত যদি ছোট ছোট রাজ্যে ভাগ হয়ে যায় তাহলে এই দেশগুলো কোনটাই খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে না। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জাতীয়তাবাদ দেশপ্রেমের জিকির তুললেও তাদের কাঙ্খিত মানচিত্রে কেমন করে খাদ্য রসদ জুটবে তার কোনও জবাব নেই। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত তাদের ট্রাক বোঝাই মালামাল নিয়ে অন্য রাজ্যগুলোতে বিপণনের সুযোগ নিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কেউ কি এভাবে ট্রাক বোঝাই করে সীমান্তে সীমান্তে কত পার্সেন্ট ট্যাক্স দিয়ে চাল, ডাল, তেল, নুন এনে জনগণকে খাওয়াবেন বলে স্থির করেছেন? ভৌগলিক এই পরাধীনতাই আপনাকে অন্যের কদর রাজ্যে পরিণত করবে নতুবা চিরকাল নতজানু হয়ে বেঁচে থাকবেন।
ভারতের সীমাহীন বৈষম্য বাংলাদেশের প্রতি, এর কি কোন প্রতিকার আছে? লং মার্চ করে, আন্তর্জাতিক আদালতে যাবার তোড়জোড় করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত বিরোধী জনগণের ভোট হাতানো ছাড়া তেমন কিছু কি কেউ দৃশ্যত দেখেছেন? বিএনপি-জামাত কেন, চরমোনাই পীরকে গদিতে বসালেও দেখবেন ভারতের সামনে হাত কচলাতে শুরু করেছে। কারণটা ঐ, ভৌগলিকসহ নানা রকম বাস্তবতার মধ্যে বিদ্যমান।
চরমোনাই পীর কাশ্মীর গিয়ে বুকের রক্ত ঢালতে চাওয়ার পর এতগুলো মাস কেটে গেছে, কেউ কি জানেন উনি ভারতে জিহাদ করতে গেছেন কিনা? আগেই বলেছি ল্যান্ড সুবিধা ও বাণিজ্য সুবিধা নিতেই কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বনেতারা কেউ ভারতকে চটাবে না। একই সঙ্গে ভাড়াটে গুন্ডা হিসেবে পাকিস্তানকেও হাড্ডি দিয়ে খুশি রাখতে হবে যাতে ভারতকে সব সময় ভীত-তস্ত্র রাখা যায়।
এতখানি পড়ে নিশ্চয় এখন জানতে চাইছেন সমাধান হিসেবে আমি কি বলতে চাইছি? আমি যা বলতে চাই তা শোনার মত স্থিরতা এই উপমহাদেশের মানুষের আগামী একশ বছরের মধ্যে হবে কিনা সন্দেহ। ভারত এখন বহিরাগতদের খেদানো নামে যা শুরু করেছে সেটা এই উপমহাদেশের মধ্যে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর মতো জোটবদ্ধতার মূলে কুঠারাঘাত। আসামে ও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ধরে ধরে বের করে দেয়ার হুমকি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে সাময়িক ভোটব্যাংককে খুশি রাখলেও দীর্ঘ মেয়াদে সফলতার বদলে তাদের রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। ভারত বাংলাদেশ শ্রীলংকা ভুটান নেপাল… এদেরকে নিয়ে একটা অভিন্ন অর্থনৈতিক জোট করা, ভিসাহীন অবাধ যাতায়াত ও বসবাসের সুযোগ এবং ব্যবসার মুনাফাই পারে একমাত্র সমাধান হতে। ভারতের কারণে বাংলাদেশে একটা অঞ্চল যদি শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যায় তো ভারতে বাংলাদেশের মানুষের অবাধ বসবাসের সুযোগ কেন থাকবে না? জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষ বিশ্বনাগরিক হতে প্রস্তুত। একসময় বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বড় একটা অংশ তলিয়ে যাবে। শ্রীলংকা মালদ্বীপের মত দেশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে। প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। আমাদের এখন দরকার আঞ্চলিকতা ঝেড়ে বিশ্বনাগরিক হওয়ার মানসিকতা তৈরি রাখা। নৌকা বোঝাই মানুষ যারা ইউরোপে ঢুকতে চায় তাদের কি উন্নত বিশ্বের সুবিধা পাবার অধিকার নেই একজন মানুষ হিসেবে? আমি জানি নৌকা বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব বাংলাদেশী ভারতীয় পাকিস্তানী শ্রীলংকান ইউরোপে যেতে চায় ভাগ্য বদল করতে, আর্তি জানায় তাদের সেদেশে থাকার একটু সুযোগ দিতে- তারাই স্বদেশে এক একজন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী! কট্টর জাতীয়তাবাদী। ইউরোপের কট্টরদের হাতেই আবার তারা প্রত্যাখাত হয়ে হয় ফেরত আসে নয়তো নৌকা ডুবে সমুদ্রে ভেসে যায়…।
আজকের পৃথিবী বাজার ধরার পৃথিবী। স্বাধীনতা সার্বভ্রৌমত্ব বাজার অর্থনীতির কাছে পরাজিত। যাদের আসলে কিছু বেচার নেই তারাই দেশপ্রেম বুলি আওড়ায়। এই যে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান চীনের পা ধরে কত কান্নাকাটি করল, সৌদি কাতার তুরস্ককে সাত মন ঘি ঢেলে নাচাতে চাইল- কেউ কি নাচল? পাগল নাকি! এখানে বিজনেস জড়িত। ভারতে কত মিলিয়ন ডলারের বাজার আছে চীনের সেই খবর কেউ রাখে? সৌদি কাতারের ভারতকে প্রয়োজন আছে। চীনকে উইঘুর নিয়ে তথাকথিত মুসলিম বিশ্ব কেন ঘাটায় না? কারণ তারা কেউ বাজার হারাতে চায় না।
একমাত্র ব্যবসাই পারে পৃথিবীকে শান্ত রাখতে। ব্যবসার স্বার্থেই মানুষ সেক্যুলার হতে বাধ্য হয়। রোজার ইফতারি যেমন হিন্দু দোকানদার বানায়, তেমনি রথের মেলায় মুসলমান দোকানদার পসরা নিয়ে বসে। আমি তো লক্ষ্মী দেবীর মূর্তি একজন মুসলমানকে বেচতে দেখেছি। ব্যবসাই পারে রাজায় রাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে। আবার ব্যবসাই আমাদের মানবতার আর্তি শুনেও মূক বধির সাজতে বাধ্য করে। তবু ব্যবসা বিপণন ব্যবস্থাই পৃথিবীর অঞ্চলগুলোকে শান্ত রাখতে পারে।
এবার আসি এই উপমহাদেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পুজারীদের বিষয়ে। যেসব পন্ডিত ‘ভারত’ বলতে ইতিহাসে কখনই একটি দেশ বা জাতি বুঝায়নি বলে পান্ডিত্য ঝাড়েন তারা এটা বুঝেন না, এই গোটা উপমহাদেশে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেউ বাঁচতে পারবে না। ভারত যদি ছোট ছোট রাজ্যে ভাগ হয়ে যায় তাহলে এই দেশগুলো কোনটাই খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে না। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জাতীয়তাবাদ দেশপ্রেমের জিকির তুললেও তাদের কাঙ্খিত মানচিত্রে কেমন করে খাদ্য রসদ জুটবে তার কোনও জবাব নেই। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত তাদের ট্রাক বোঝাই মালামাল নিয়ে অন্য রাজ্যগুলোতে বিপণনের সুযোগ নিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কেউ কি এভাবে ট্রাক বোঝাই করে সীমান্তে সীমান্তে কত পার্সেন্ট ট্যাক্স দিয়ে চাল, ডাল, তেল, নুন এনে জনগণকে খাওয়াবেন বলে স্থির করেছেন? ভৌগলিক এই পরাধীনতাই আপনাকে অন্যের কদর রাজ্যে পরিণত করবে নতুবা চিরকাল নতজানু হয়ে বেঁচে থাকবেন।
ভারতের সীমাহীন বৈষম্য বাংলাদেশের প্রতি, এর কি কোন প্রতিকার আছে? লং মার্চ করে, আন্তর্জাতিক আদালতে যাবার তোড়জোড় করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত বিরোধী জনগণের ভোট হাতানো ছাড়া তেমন কিছু কি কেউ দৃশ্যত দেখেছেন? বিএনপি-জামাত কেন, চরমোনাই পীরকে গদিতে বসালেও দেখবেন ভারতের সামনে হাত কচলাতে শুরু করেছে। কারণটা ঐ, ভৌগলিকসহ নানা রকম বাস্তবতার মধ্যে বিদ্যমান।
চরমোনাই পীর কাশ্মীর গিয়ে বুকের রক্ত ঢালতে চাওয়ার পর এতগুলো মাস কেটে গেছে, কেউ কি জানেন উনি ভারতে জিহাদ করতে গেছেন কিনা? আগেই বলেছি ল্যান্ড সুবিধা ও বাণিজ্য সুবিধা নিতেই কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বনেতারা কেউ ভারতকে চটাবে না। একই সঙ্গে ভাড়াটে গুন্ডা হিসেবে পাকিস্তানকেও হাড্ডি দিয়ে খুশি রাখতে হবে যাতে ভারতকে সব সময় ভীত-তস্ত্র রাখা যায়।
এতখানি পড়ে নিশ্চয় এখন জানতে চাইছেন সমাধান হিসেবে আমি কি বলতে চাইছি? আমি যা বলতে চাই তা শোনার মত স্থিরতা এই উপমহাদেশের মানুষের আগামী একশ বছরের মধ্যে হবে কিনা সন্দেহ। ভারত এখন বহিরাগতদের খেদানো নামে যা শুরু করেছে সেটা এই উপমহাদেশের মধ্যে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর মতো জোটবদ্ধতার মূলে কুঠারাঘাত। আসামে ও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ধরে ধরে বের করে দেয়ার হুমকি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে সাময়িক ভোটব্যাংককে খুশি রাখলেও দীর্ঘ মেয়াদে সফলতার বদলে তাদের রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। ভারত বাংলাদেশ শ্রীলংকা ভুটান নেপাল… এদেরকে নিয়ে একটা অভিন্ন অর্থনৈতিক জোট করা, ভিসাহীন অবাধ যাতায়াত ও বসবাসের সুযোগ এবং ব্যবসার মুনাফাই পারে একমাত্র সমাধান হতে। ভারতের কারণে বাংলাদেশে একটা অঞ্চল যদি শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যায় তো ভারতে বাংলাদেশের মানুষের অবাধ বসবাসের সুযোগ কেন থাকবে না? জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষ বিশ্বনাগরিক হতে প্রস্তুত। একসময় বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বড় একটা অংশ তলিয়ে যাবে। শ্রীলংকা মালদ্বীপের মত দেশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে। প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। আমাদের এখন দরকার আঞ্চলিকতা ঝেড়ে বিশ্বনাগরিক হওয়ার মানসিকতা তৈরি রাখা। নৌকা বোঝাই মানুষ যারা ইউরোপে ঢুকতে চায় তাদের কি উন্নত বিশ্বের সুবিধা পাবার অধিকার নেই একজন মানুষ হিসেবে? আমি জানি নৌকা বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব বাংলাদেশী ভারতীয় পাকিস্তানী শ্রীলংকান ইউরোপে যেতে চায় ভাগ্য বদল করতে, আর্তি জানায় তাদের সেদেশে থাকার একটু সুযোগ দিতে- তারাই স্বদেশে এক একজন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী! কট্টর জাতীয়তাবাদী। ইউরোপের কট্টরদের হাতেই আবার তারা প্রত্যাখাত হয়ে হয় ফেরত আসে নয়তো নৌকা ডুবে সমুদ্রে ভেসে যায়…।
0 মন্তব্যসমূহ