ইতিহাসের সরণি বেয়ে ফিরে যাওয়া যাক এক হাজার বছর আগের বঙ্গদেশে। সঠিকভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ১০৭৫ খ্রীষ্টাব্দের বরেন্দ্রভুমিতে। সেখানে তখন পালরাজাদের শাসন চলছে। বরেন্দ্রী কৈবর্তনায়ক দিব্য, নামান্তরে দিব্বোক দ্বিতীয় মহিপালকে পরাজিত ও নিহত করে সুচনা করলেন বাংলায় কৈবর্তরাজের। এটুকু বোধহয় আমরা সকলেই ইতিহাসে পড়েছি।
কারা ছিলেন এই কৈবর্ত? যতদূর শুনেছি কৈবর্তরা মূলত ছিলেন জেলে এবং বরাবরই এঁরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে আর এক শ্রেণীর অর্থাৎ হেলে কৈবর্তর কথাও শোনা যায়। হেলে মানে চাষী। এঁরাই নাকি পরবর্তীকালে মাহিষ্য নামে পরিচিত হন। যাইহোক, জেলে হন বা হেলে, তৎকালীন হিন্দু সমাজে কৈবর্তরা অন্তজ জাতি বলে গণ্য হতেন। অর্থাৎ উক্ত জাতিটি মানুষেরা 'জলাচরণীয়' নয়, এঁদের স্পর্শ করলে নাকি তথাকথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুদের জাতিচ্যুত হতে হত। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় লিখেছেন, "বিষ্ণুপুরাণে কৈবর্তদের বলা হইয়াছে অব্রক্ষণ্য, অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্য সমাজ ও সংস্কৃতি বহির্ভূত। মনুস্মৃতিতে নিষাদ পিতা এবং আয়োগব মাতা হইতে জাত সন্তানকে বলা হইয়াছে মার্গব বা দাস ; ইহাদেরই অন্য নাম কৈবর্ত। মনু বলিতেছেন, ইহাদের উপজীবিকা নৌকার মাঝিগিরি। এই দুইটি প্রাচীন সাক্ষ্য হইতেই বুঝা যাইতেছে, কৈবর্তরা কোনও আর্যপূর্ব কোম বা গোষ্ঠী ছিল, এবং তাহারা ক্রমে আর্য-সমাজের নিম্নস্তরে স্থানলাভ করিতে ছিল। বৌদ্ধ জাতকের গল্পেও মৎস্যজীবিদের বলা হইয়াছে কেবত্ত = কেবর্ত। আজ পর্যন্ত পূর্ববঙ্গের কৈবর্তরা নৌকাজীবী মৎস্যজীবী। দ্বাদশ শতকে বাঙালী স্মৃতিকার ভবদেব ভট্ট সমাজে কেবর্তদের স্থান নিদেশ করিতেছেন অন্ত্যজ পর্যায়ে, রজক, চর্মকার, নট, বরুড়, মেদ এবং ভিল্লদের সঙ্গে।" অবশ্য মহাভারতে দেখা গেছে 'উচ্চবর্ণীয় ক্ষত্রিয়' রাজা শান্তনু ধীবরকন্যা সত্যবতীকে বিবাহ করেছিলেন কিন্তু তাই দিয়ে কৈবর্তজাতির কোনও সামাজিক উন্নতি হয় নি। কে না জানে নিম্নবর্ণের নারীদের উচ্চবর্ণীয় পুরুষরা ভোগ করবার সময়ে কোনোকালেই কোনোযুগেই জাতের বিচার করতো না !
যাইহোক, পুরাণ থেকে ইতিহাসে এলে দেখতে পাই বাঙালীদের দ্বারা সম্ভবত প্রথম রাষ্ট্রবিপ্লবের নায়ক ছিলেন এই কৈবর্তরা। নারায়ণপালের সময় থেকেই পাল-সাম্রাজ্যের যে ভগ্নদশা আরম্ভ হয়েছিল এবং দ্বিতীয় বিগ্রহপালের সময় যে চরম অবনতি দেখা দিয়েছিল, প্রথম মহীপাল তাহা রোধ করে পূর্ব গৌরব অনেকটা ফিরাইয়া আনলেন বটে, কিন্তু মহীপালের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই আবার সেই সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে ভেঙে পড়তে আরম্ভ করল। পাল সাম্রাজ্যের রাজা দ্বিতীয় মহীপালের শাসন কালে সম্ভবত ১০৭০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১০৭৫ খ্রীস্টাব্দর মধ্যে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়। মহীপাল যখন রাজা হলেন তখন ঘরে-বাহিরে অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। নিজ পরিবারের মধ্যে নানা চক্রান্ত, সামন্তরা বিদ্রোহোন্মুখ। এই ছিল কৈবর্ত বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট।
সন্ধ্যাকর নন্দী বিরচিত 'রামচরিত' কাব্যে কৈবর্ত বিদ্রোহ এবং রামপাল কর্তৃক বরেন্দ্রীর উদ্ধার-যুদ্ধের বিস্তৃত বিবরণ আছে। রামচরিতের একটি শ্লোকে এমন ইঙ্গিত আছে দিব্যক মহীপালের অধীনে কোনো উচ্চ রাজকার্যে নিযুক্ত ছিলেন। মনে করা হয়, অত্যাচারী মহীপালের রাজত্বে বিরাজমান অসন্তোষের সুযোগে দিব্যক কৈবর্ত প্রজাদের উদ্দেশ্যে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক আবদুর রহিম লিখছেন, "কেহ কেহ এই বিদ্রোহকে ধর্মীয় প্রকৃতি দান করিয়া মত পোষণ করিয়াছেন যে মৎসজীবী কৈবর্তদিগকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজারা সামাজিক নির্যাতনের বসবর্তী করিয়াছিলেন কারণ কৈবর্তদের জীবিকা বৌদ্ধধর্ম বিরোধী ছিল।" কৈবর্তরা নৌকা চালাতে পারদর্শী বলে তারা নৌ যুদ্ধকেই প্রাধান্য দেয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের বরেন্দ্রভুমিকে অধীনে আনতে সক্ষম হযেছিল়। রাজা দ্বিতীয় মহীপাল যুদ্ধে নিহত হন় এবং পাল সেনারা পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়। দ্বিতীয় মহিপাল কে পরাজিত ও হত্যা করার সাফল্য কে স্মরণীয় করে রাখতে দিব্যক আধুনা বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার দিবর দীঘির মধ্যস্থলে একটি স্তম্ভ নির্মাণ করেন। দীঘিটি ৪০/৫০ বিঘা বা ১/২ বর্গ মাইল জমির উপর অবস্থিত। দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত আটকোণ বিশিষ্ট গ্রানাইট পাথরের এতবড় স্তম্ভ বাংলাদেশে বিরল। এ স্তম্ভের সর্বমোট উচ্চতা ৩১ ফুট ৮ ইঞ্চি। দীনেশ চন্দ্র সেন 'বৃহৎ বঙ্গ' গ্রন্থে লিখেছেন, "কৈবর্তরাজ ভীমের খুল্ল পিতামহ দিব্বোক দ্বিতীয় মহিপাল কে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করিয়া বিজয়োল্লাসে যে স্তম্ভ উত্থাপিত করিয়াছিলেন, তাহা এখনও রাজশাহী জেলার এক দীঘির উপরে মস্তক উত্তোলন করিয়া বিদ্যমান।" উল্লেখ্য পূর্বে নওগাঁ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অবশ্য বৃটিশ প্রত্নতত্ববিদ আলেকজান্ডার ক্যানিংহ্যামের মতো, একাংশ শতাব্দির কৈর্বত্য রাজা দিব্যকের ভ্রাতা রুদ্রকের পুত্র প্রখ্যাত নৃপতি ভীমের কীর্তি এটি। আবার ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, দিব্যর সহিত বিদ্রোহীদের কোনো প্রকার যোগাযোগ ছিল কিনা, রামচরিতে তাহার উল্লেখ নেই। সুতরাং অসম্ভব নয় যে, দিব্য প্রথমে মহীপালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগদান করেন নি ; পরে বিদ্রোহীরা জয়লাভ করলে তিনি মহীপালকে হত্যা করে বরেন্দ্রী অধিকার করেছিলেন। রামচরিতে দিব্যকে 'দস্যু' ও 'উপধিব্রতী' বলা হয়েছে। রমেশচন্দ্র লিখেছেন, "দস্যু ও উপধিব্রতী হইতে বরং ইহাই মনে হয় যে, রামচরিতকারের মতে দিব্য প্রকৃতই দস্যু ছিলেন ; কিন্তু দেশহিতের ভাণ করিয়া রাজাকে হত্যা করিয়াছিলেন। বস্তুত রামচরিত কাব্যের অন্যত্রও দিব্যর আচরণ কুৎসিত ও নিন্দনীয় বলিয়া আখ্যাত হইয়াছে।" তবে পালরাজাদের কর্মচারী সন্ধ্যাকর নন্দী দিব্যক সম্বন্ধে বিরুদ্ধভাব পোষণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। দীনেশচন্দ্র সেনের মতে, "ব্রাহ্মণ লেখক সন্ধ্যাকর নন্দী কৈবর্ত্তরাজত্বের প্রতি এতটা বিদ্বিষ্ট ছিলেন যে তাঁহাদের রাজধানীকে তিনি 'উপপুর' নামে অভিহিত করিয়াছেন। যদি ভীম জয়ী হইতেন, তবে রামপালের কার্য্যটাই 'বিদ্রোহ' নামে অভিহিত হইত ; জয়ের গৌরব ও পরাজয়ের কলঙ্ক রাষ্ট্র-ইতিহাসে চিরপরিচিত।" বস্তুত, রামচরিতে এই বিদ্রোহকে 'অনীকম ধর্মবিপ্লবম' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
যাইহোক, দিব্যর নেতৃত্বে বরেন্দ্রভুমিকে রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা হল বটে কিন্তু তিনি নিষ্কন্টকে রাজ্য ভোগ করতে পারেন নি। পূর্ববঙ্গের বর্মবংশীয় রাজা জাতবর্মা তাঁকে পরাজিত করেন। তএই বিরোধের কোনও কারণ জানা যায় না। তবে রামপাল বরেন্দ্র উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেন নি। বরং দিব্য রামপালের রাজ্য বারংবার আক্রমণ করে তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন।
দিব্যর মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন তার ছোট ভাই রুদোক ও তারপরে রুদোক পুত্র, মতান্তরে ভ্রাতা ভীম। ভীম নিজেকে একজন দক্ষ ও জনপ্রিয় শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ভীম যুদ্ধ বিধ্বস্ত বরেন্দ্রভুমিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। রামচরিতে ভীমের প্রশংসাসূচক কয়েকটি শ্লোক আছে, যাতে তাঁর রাজ্যের শক্তি ও সমৃদ্ধির বর্ণনা আছে। একটি শ্লোকে ভীমকে "লক্ষ্মী ও সরস্বতী উভয়ের আবাস" বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।
এদিকে রামপাল প্রতিবেশী রাজাদের ও পালরাষ্ট্রের অতীত ও বর্তমান, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সামন্তদের সহায়তায় এক বিশাল সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন। রাজেন্দ্রলাল আচার্য লিখেছেন, "রামচরিতে চতুর্দ্দশ জন সামন্তের নাম উল্লিখিত হইয়েছে। তাঁহারা (১) কান্যকুব্জরাজের সেনা পরাভবকারী ভীমযশ, (২) দক্ষিণ সিংহাসন চক্রবর্ত্তী বীরগুণ, (৩) উৎকলেশ কর্ণকেশরীর সেনা ধ্বংসকারী দণ্ডভুক্তি ভুপতি জয়সিংহ, (৪) দেবগ্রামপতি বিক্রমরাজ, (৫) অপার মন্দারপতি সমস্ত অারণ্য-সামন্ত-চক্রচুড়ামণি লক্ষ্মীশুর, (৬) কুজবটির অধীশ্বর শূরপাল, (৭) তৈল-কষ্পপতি রুদ্রশেখর, (৮) উচ্ছালপতি ময়গলসিংহ, (৯) ডেক্করীয়রাজ প্রতাপসিংহ, (১০) কয়ঙ্গলপতি নরসিংহার্জ্জুন, (১১) সঙ্কটগ্রামীয় চণ্ডার্জ্জুন, (১২) নিদ্রাবলীর বিজয়রাজ, (১৩) কোশাম্বীপতি গোবর্দ্ধন এবং (১৪) পদুবম্বাপতি সোম।" এই প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন, "এই সময়ে তাঁকে নদীতীরস্থ বহু ভুমি ও বিপুল অর্থ দান করিতে হইয়াছিল।" রামপালের প্রধান সহায়ক ছিলেন তাঁর মাতুল রাষ্ট্রকূট বংশীয় মথন। এই সম্মিলিত শক্তিপুঞ্জের সঙ্গে ভীমের পক্ষে এঁটে ওঠা সম্ভব ছিল না। রামপাল সম্ভবত দক্ষিণবঙ্গ হতে বরেন্দ্র আক্রমণ করেন। তিনি প্রথমে মহাপ্রতীহার শিবরাজের নেতৃত্বে একদল সেন্য প্রেরণ করেন। "ভাগিরথীর উপর অবিলম্বে 'নৌকামেলক' বা নৌসেতু নির্মিত হল।" এই সৈন্যদল গঙ্গা নদী পার হয়ে বরেন্দ্রভূমি পৌঁছায়। এইরূপে গঙ্গার অপর তীর সুরক্ষিত করে রামপাল তাঁর বিপুল সৈন্যবাহিনী নিয়ে নদীপার হয়ে বরেন্দ্রভূমি আক্রমণ করেন। এইবার কৈবর্তরাজ ভীম সসৈন্যে রামপালকে বাধা দিলেন এবং নদীর উত্তর-তীরে দুই সৈন্যদলে তুমুল যুদ্ধ হল। রামচরিতের নয়টি শ্লোকে এই যুদ্ধের বর্ণনা আছে। হস্তিপৃষ্ঠে যুদ্ধ করতে করতে ভীম জীবিতাবস্থায় বন্দী হন। রাখালদাসের মতে, "রামচরিতের টীকা হইতে কোন স্থানে রামপালের সহিত কৈবর্ত্ত-রাজের যুদ্ধ হইয়াছিল, তাহা বুঝিতে পারা যায় না ; তবে ইহা স্থির যে, বরেন্দ্রভুমির দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে কোনো স্থানে এই যুদ্ধ হইয়াছিল। কৈবর্ত্ত-রাজ ভীম যুদ্ধকালে জীবিতাবস্থায় ধৃত হইয়াছিলেন।" রামপাল যুদ্ধান্তে রাজধানী ডমরনগর ধ্বংস করে দেন। ভীমের অগণিত ধনরত্নপূর্ণ রাজকোষ রামপালের সেনাদল কর্তৃক লুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভীম বন্দী হওয়ার অব্যবহিত পরেই ভীমের অন্যতম সুহৃদ ও সহায়ক হরি পরাজিত ও পযুদস্ত কৈবর্ত সৈন্যদের একত্র করে আবার যুদ্ধে রামপালের পুত্র রাজ্যপালের সম্মুখীন হন, কিন্তু পুনরায় পরাজিত ও ধৃত হলেন।
রামচরিতের বর্ণনা অনুযায়ী রামপাল ভীমের কঠোর দণ্ড বিধান করেন। ভীমকে বধ্যভুমিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রথমে তাঁর সম্মুখেই তাঁর পরিবারবর্গকে হত্যা করা হয়। তারপর বহু শরাঘাতে ভীমকেও বধ করা হয়। এভাবেই সপরিবারে ভীমের জীবনাবসানের মধ্যে দিয়ে কৈবর্ত বিদ্রোহ এবং বরেন্দ্রভুমির স্বাধীন রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটে। উত্তরবঙ্গের বহুস্থানে যে বিশাল বিশাল মাটির পাঁচিলের অবশেষ এখনও দেখা যায় এবং যা 'ভীমের জাঙ্গাল' নামে প্রসিদ্ধ তা কৈবর্তসেনা রামপালকে প্রতিহত করতে নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
তথ্যসূত্র :
বাংলা দেশের ইতিহাস প্রথম খণ্ড, রমেশচন্দ্র মজুমদার, জেনারেল প্রিন্টার্স এ্যান্ড পাবলিশার্স
বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম খণ্ড, রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়, দেজ পাবলিশিং
বাঙালীর ইতিহাস আদি পর্ব, নীহাররঞ্জন রায়, বুক এম্পোরিয়াম
বৃহৎ বঙ্গ প্রথম খণ্ড, দীনেশচন্দ্র সেন, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালীর বল, রাজেন্দ্রলাল আচার্য, স্টুডেন্টস লাইব্রেরী
বাংলাদেশের ইতিহাস, আবদুর রহিম, নাওরোজ কিতাবিস্তান
0 মন্তব্যসমূহ