স্বাধীনতার প্লাটিনাম জয়ন্তী ।। অনাবিল সেনগুপ্ত

 
দেশের মানুষের অস্তিত্ব বজায় রাখতে, মানুষের 'অধিকার' গুলো তাদের অর্থনৈতিক বিকাশ, সমৃদ্ধি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্কের মাধ্যমে জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয়। একটি দেশের নাগরিকদের জন্য উপলব্ধ তিনটি প্রধান অধিকার হ'ল- মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার এবং আইনি অধিকার। মানবাধিকার সেই অধিকারগুলির সাথে সম্পর্কিত যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি ন্যায়বিচার, ন্যায্য এবং নির্বিঘ্নে জীবন উপভোগ করতে পারে তবে মৌলিক অধিকার যে কোনও দেশের পক্ষে অনন্য, কারণ যা কোনও দেশের  সাংবিধানিক গণতন্ত্রকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, আইনগত অধিকারগুলি হল যেগুলি একজন ব্যক্তি কৃতকর্মের দ্বারা প্রাপ্ত হয় এবং সেগুলি  রাষ্ট্রের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য একটি আইন দ্বারা বাতিল হয়ে যেতে পারে। যে সমস্ত মানবাধিকার দেশের মানুষ পেয়ে থাকেন  তা নাগরিক অধিকার হোক বা রাজনৈতিক অধিকার সেগুলি অভিন্ন প্রকৃতির। রাষ্ট্রগুলি আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতায় মানবাধিকারের সম্মান, সুরক্ষা এবং সম্পাদনের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে। সম্মান করার বাধ্যবাধকতার মানে হল যে রাষ্ট্রকে অবশ্যই মানবাধিকারের উপভোগের উপর হস্তক্ষেপ বা হ্রাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সুরক্ষার দায়বদ্ধতার জন্য রাষ্ট্রকে ব্যক্তি এবং ব্যক্তি গোষ্ঠীকে মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করতে হবে। দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতাটির অর্থ হ'ল রাষ্ট্রকে অবশ্যই সমস্ত ব্যক্তি এবং ব্যক্তি গোষ্ঠীর মানবাধিকার উপভোগ সহজ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ভারতে মৌলিক অধিকার হ'ল ভারতের সংবিধানের তৃতীয় খণ্ড (অনুচ্ছেদ ১২ থেকে ৩৫) এর আওতাধীন অধিকারগুলি। ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত ছয়টি মৌলিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ১৪ থেকে ৩২): সমতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ১৪ থেকে ১৮), স্বাধীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ১৯ থেকে ২২), শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৩ থেকে ২৪), ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৫ থেকে ২৮), সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৯ থেকে ৩০) এবং সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩২ এবং ২২৬)। সংবিধানে তালিকাভুক্ত মৌলিক অধিকার যা প্রতিটি নাগরিক অধিকারী।  'সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার'  সংবিধানের তৃতীয় অংশে অনুচ্ছেদ ৩২ প্রদত্ত অধিকারের প্রয়োগের জন্য এবং যথাযথ কার্যক্রমের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে।

এটিতে বলা হয়েছে যে সুপ্রীম কোর্ট "হাবিয়াস কর্পাস, ম্যান্ডামাস, নিষেধ, কোয়া ওয়ারেন্টো এবং শংসাপত্রের প্রকৃতি অনুসারে রিটসহ নির্দেশ বা আদেশ বা রিট জারি করার ক্ষমতা রাখে, যে কোনও অধিকার, প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত অংশ " এই অনুচ্ছেদে প্রদত্ত গ্যারান্টিযুক্ত অধিকার"এই সংবিধানের দ্বারা প্রদত্ত অন্যথায় স্থগিত করা যাবে না"। সংবিধানের তৃতীয় অংশে এই অনুচ্ছেদটি সমতা, বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং ধর্মের স্বাধীনতা সহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার সহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদি এই মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে কোনটি লঙ্ঘিত হয় তবেই একজন ব্যক্তি অনুচ্ছেদ 32 এর অধীনে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।

১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে গণপরিষদের বিতর্ক চলাকালীন এই মৌলিক অধিকার নিয়ে একটি আলোচনার (খসড়ায় এটি অনুচ্ছেদ ২৫ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে) ডঃ বি আর আম্বেদকর বলেছিলেন, “যদি আমাকে এই সংবিধানের কোনও নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদের নাম বলতে বলা হয় তবে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ - একটি নিবন্ধ যা ছাড়া এই সংবিধানটি বাতিল হয়ে যাবে - আমি এই ব্যতীত অন্য কোনও অনুচ্ছেদে উল্লেখ করতে পারি না। এটি সংবিধানের আত্মা এবং এটির হৃদয় ... ”তিনি বলেন, এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দেওয়া অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না যদি না সংবিধান সংশোধন করা হয় এবং সেইজন্য এটি  সবচেয়ে বড় ব্যক্তি সুরক্ষার অধিকার যেতে পারে "।

খসড়া কমিটির অন্যরাও বলেছিলেন যে যেহেতু এটি একজন ব্যক্তিকে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিকার হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কাছে যাওয়ার অধিকার দেয়, তাই সংবিধানের অধীনে গ্যারান্টিযুক্ত "এটি সমস্ত মৌলিক অধিকারের একটি মৌলিক অধিকার"। সংবিধান সভায় জরুরি ভিত্তিতে এই অধিকার সহ মৌলিক অধিকার স্থগিত বা সীমিত হতে পারে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। জরুরী সময়কালেও নিবন্ধটি স্থগিত করা যাবে না।

পাঁচ ধরণের রিটের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন বা আইন প্রয়োগের জন্য উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্ট উভয়ের কাছেই যোগাযোগ করা যেতে পারে:

* হ্যাবিয়াস কর্পাস (অবৈধ আটক এবং ভুল গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সম্পর্কিত)

* ম্যান্ডামাস - সরকারী কর্মকর্তা, সরকার, আদালতকে একটি সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া;

* কিয় ওয়ারেন্টো - কোন ওয়ারেন্ট দ্বারা দেখানো হয় যে একজন ব্যক্তি পাবলিক অফিসে আছেন;

* নিষেধাজ্ঞা-  বিচারক বা আধা-বিচারক কর্তৃপক্ষকে সেই কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া যার কোন এখতিয়ার নেই; এবং 

* সার্টিওরিরি - বিচারক, আধা-বিচারক বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের পুনরায় পরীক্ষা করা।

দেওয়ানি বা ফৌজদারি বিষয়ে, একজন ব্যক্তির কাছে প্রথম প্রতিকার পাওয়া জায়গা  ট্রায়াল কোর্ট, এরপর হাইকোর্ট এবং তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল। যখন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের কথা আসে, একজন ব্যক্তি অনুচ্ছেদ 226 এর অধীনে হাইকোর্ট অথবা সরাসরি অনুচ্ছেদ 32 এর অধীনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে যেতে পারেন।

তথাপি, ভারতে রাজনৈতিক অধিকারের চর্চা করা একেবারেই যেন সীমিত হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউস নামের একটি সংস্থার ২০২১ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে 'আংশিক স্বাধীন’ দেশগুলোর মধ্যে তলানিতে ভারতের অবস্থান। অগণিত জীবনের আত্মবলিদানের মাধ্যমে অর্জিত রক্তস্নাত স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের ৭৫ বছরের (প্লাটিনাম জয়ন্তী) রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে এখন আমরা আংশিক স্বাধীন দেশের তলানিতে। দেশ যেন এখন জনগণের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা ও সংকল্পের বিপরীতে নির্যাতনকারী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যে জনগণের আত্মদানের মাধ্যমে স্বাধীনতা, সেই জনগণকে রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করার 'সর্বনাশা প্রক্রিয়া' রাষ্ট্রকে চরম সংকটে ফেলেছে। বিদ্যমান কর্তৃত্বমূলক শাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক চেতনাকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন এসব মৌলিক প্রশ্নকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বহির্ভূত করে দিয়েছে। জনগণকে প্রজাতন্ত্রের মালিকানা থেকে বিতাড়িত করেছে। সরকার উন্নয়নের বয়ানে গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বলপ্রয়োগে স্তব্ধ করার তথাকথিত অধিকারে পরিণত করেছে।

জনগণের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে সরকার রাষ্ট্রকে নিজস্ব সম্পত্তিতে রূপান্তর করেছে। সমস্ত নাগরিকের জন্য ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হয় এটা সরকারের বিবেচনাতেও নেই। সরকার ন্যায্যতার শাশ্বত বিধান, সংবিধানের নির্দেশনা এবং গণতান্ত্রিক চেতনা অহরহ লঙ্ঘন করছে অথচ সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা যাচ্ছে না। কিন্তু বিরোধীদের বারেবারেই সরকারের বিরোধিতাকে সংবিধান বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করে জেলে ভরা চলছে! কারণ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে সাংবিধানিক শাসনবহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে নৈতিকভাবে অক্ষম করে তুলেছে এবং বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংসের সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত করে তুলছে। একটি রাষ্ট্র থাকে সবার কিন্তু ভারত নামক গণপ্রজাতন্ত্রটি এখন কারো কারো, সবার নয়। সরকার ক্ষমতা বলে কাউকে পদানত করছে আর কাউকে অনুগ্রহের দাস বানাচ্ছে। জবাবদিহিতা বা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কোনো প্রক্রিয়া সরকার অনুসরণ করছে না। উন্নয়নের নামে জনগণের করের টাকা যেভাবে অপচয় হচ্ছে তা বিশ্বে বিরল। কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, কয়েক কোটি শিক্ষিত বেকার, কয়েক কোটি শিশু অপুষ্টির শিকার তারপরও হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে কার স্বার্থে! উন্নয়নের নামে জাতির সক্ষমতা বিনষ্ট করা হচ্ছে, তিলেতিলে গড়া রাষ্ট্রীয় সম্পদকে বিক্রি করে দেওয়ার খেলায় মেতেছে উঠেছে যেন, উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে দুর্নীতির জালে আটকে ফেলা কোনো ক্রমেই দেশপ্রেমের পরিচয় নয়। জনগণ অবশ্যই উন্নয়ন চায়, কিন্তু একমূখী উন্নয়ন বা কোনোক্রমেই রাষ্ট্রের নৈতিকতা এবং সম্ভ্রমের বিনিময়ে নয়, গণতন্ত্র ও সংবিধানের বিনিময়ে নয়। জনগণ, মূল্যবান প্রাণ এবং প্রকৃতি যেন উন্নয়নের শিকারে পরিণত না হয়। একটি রাষ্ট্রকে যদি নীতি-নৈতিকতা, দায় এবং আইনের শাসনের বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে

ফেলা হয়, সে রাষ্ট্র ক্রমাগত দুর্বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে উঠে। রাষ্ট্রের নাগরিকদের আত্মবিকাশের সুযোগ যখন রুদ্ধ হয়, নাগরিকের নিরাপত্তা যখন বিপন্ন হয়, তখন রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্কের বন্ধন আলগা হতে থাকে, বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। এইধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংকট হলে তা মোকাবিলায় রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়। সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। ফলে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে রাষ্ট্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়ছে এবং একটি মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে চলছে । ক্ষমতার মোহ থেকে বাইরে এসে বাস্তবতার নিরিখে বিষয় পর্যবেক্ষণ ও বিবেচনা  করা রাষ্ট্রের জন্য জরুরি।

গত ৭৫ বছরে রাজনৈতিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাস দমন আইন এবং সোসাল মিডিয়া নিরাপত্তা নামে আইনের মতো কালো আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হয়েছে। এসব কালো আইন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংবিধানের চেতনাবিরোধী। সোসাল মিডিয়া নিরাপত্তা আইন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য নয়- সরকারকে নিরাপদ রাখার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের কাম্য হচ্ছে বাক ব্যক্তির স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে সত্যকে আড়াল করা। রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি মূলত মুক্তচিন্তাকে নির্বাসনে দেয়ার বর্বর মাপকাঠি। সত্যকে গোপন রাখা, আড়াল করা বা সত্য থেকে রাষ্ট্রকে বিরত রাখা রাষ্ট্রের কাজ নয়। নাগরিককে গ্রেপ্তার করে এবং জামিন নাকচ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া জাতীয় লজ্জার বিষয়। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ভয়াবহ অপচয়, দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য এবং নীতি-নৈতিকতাহীন অপসংস্কৃতি দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না।

 একটি জাতি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয় এবং ঐতিহাসিক গতিধারায় বিকশিত হয়। ভারতের রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার সবসময় উপেক্ষিত থেকেছে। অমানবিক, অনৈতিক ও দস্যুবৃত্তির 'যৌথ সংস্কৃতি' কোনো রাষ্ট্র বিনির্মাণের সহায়ক হতে পারে না। পোশাকি উন্নয়নের নামে একনায়কতন্ত্র, ভিন্নমত ও পথকে নিধন করার সর্বগ্রাসী কাঠামো ভারতকে দীর্ঘস্থায়ী সংকটে নিপতিত করবে। এ থেকে উত্তরণের উপায় চেতনাভিত্তিক রাজনীতির চর্চা এবং গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণজাগরণ সংঘটিত করা। আর এটাই হওয়া উচিত স্বাধীনতার ৭৫ বছরের (প্লাটিনাম জয়ন্তী) মূল লক্ষ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ